মুখে ঘা হওয়ার কারণ কোন ভিটামিন
ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অভাব শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হল ঠোঁটের কোণে ঘা বা ফেটে যাওয়া, যা মেডিকেল পরিভাষায় অ্যাঙ্গুলার চেইলাইটিস (Angular Cheilitis) নামে পরিচিত। এই সমস্যাটি সাধারণত ভিটামিন বি২ (রিবোফ্লেভিন) এর অভাবে ঘটে।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অভাবের কারণে হওয়া কিছু সাধারণ লক্ষণ:
ঠোঁটের কোণে ঘা বা ফাটা: এটি ভিটামিন বি২ এর অভাবে বেশি দেখা যায়।
ত্বকের সমস্যা: শুষ্ক ত্বক, ফাটা ঠোঁট, র্যাশ ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
অ্যানিমিয়া: ভিটামিন বি৬, বি৯ (ফোলেট), এবং বি১২ এর অভাবে রক্তস্বল্পতা হতে পারে।
মানসিক সমস্যা: উদ্বেগ, ডিপ্রেশন, এবং স্মৃতিশক্তির সমস্যাও হতে পারে।
থাকা অনুভূতি: ভিটামিন বি১ (থায়ামিন) এর অভাবে অবসন্নতা হতে পারে।
চিকিৎসা ও প্রতিরোধ:
ভিটামিন বি২ এর পরিমাণ: পূর্ণবয়স্ক পুরুষদের জন্য দৈনিক ১.৩ মিলিগ্রাম
মুখের ভিতরে সাদা ঘা কেন হয়
মৌখিক ঘা হওয়ার সাধারণ কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- দাঁতের ধারালো প্রান্তে ঘষা: যখন দাঁতের প্রান্ত ধারালো হয়, তখন এটি সহজেই মাড়ি বা গালের অভ্যন্তরীণ দিকে ঘষে গিয়ে ঘা তৈরি করতে পারে।
- ফিলিংস, মুকুট, মিথ্যা দাঁত (ডেনচার): এগুলি সঠিকভাবে বসানো না হলে বা ভেঙে গেলে মুখের ভেতরে ঘষা লেগে ঘা হতে পারে।
- অর্থোডন্টিক যন্ত্রপাতি (যেমন ধনুর্বন্ধনী): ব্রেসেস বা অন্য অর্থোডন্টিক যন্ত্রপাতি মুখের অভ্যন্তরে ঘষা লেগে ক্ষত তৈরি করতে পারে।
- দুর্ঘটনাক্রমে কামড় দেওয়া: মুখের বেদনাদায়ক উদ্দীপনা সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে, বিশেষ করে ডেন্টাল চিকিত্সার সময় চেতনানাশক ব্যবহার করা হলে, নিজেকে কামড় দেওয়ার কারণে ঘা হতে পারে।
- ভিটামিন ও খনিজের অভাব: বিশেষত ভিটামিন বি১২, জিঙ্ক, ফোলিক অ্যাসিড এবং আয়রনের অভাবের কারণে মুখের ঘা হতে পারে।
- আলসারেটিভ কোলাইটিস বা ক্রনস ডিজিজ: এই রোগগুলি মুখের অভ্যন্তরীণ অংশে আলসার তৈরি করতে পারে।
- হরমোনাল পরিবর্তন: বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে হরমোনাল পরিবর্তন মুখের ঘা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
- অ্যালার্জি বা খাদ্য সংবেদনশীলতা: কিছু খাবার বা খাবারে উপস্থিত সংরক্ষক ও রঙের উপাদান থেকে অ্যালার্জি বা সংবেদনশীলতা মুখের ঘা সৃষ্টি করতে পারে।
- মানসিক চাপ বা উদ্বেগ: মানসিক চাপ বা উদ্বেগের কারণে মুখের ঘা হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
- দাঁতের ব্রাশ বা খাবারের কঠিন কণা: দাঁতের ব্রাশের শক্ত ব্রিসল বা খাবারের কঠিন কণা মুখের ভিতর আঘাত করে ঘা সৃষ্টি করতে পারে।
এই কারণগুলি মাথায় রেখে, মৌখিক ঘা এড়াতে দাঁতের সঠিক যত্ন নেওয়া, সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা এবং অপ্রয়োজনীয় চাপ কমানোর জন্য সচেতন হওয়া উচিত।
মুখে আলসার হলে কি হয়?
মুখের ঘা (অফথা) হল একটি আলসার যা মুখের মিউকাস ঝিল্লিতে ঘটে এবং এটি খুবই সাধারণ। এটি বিভিন্ন রোগের সাথে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটতে পারে, তবে সাধারণত এর কোন গুরুতর অন্তর্নিহিত কারণ থাকে না।
মুখের ঘা-এর সাধারণ কারণগুলো:
- স্থানীয় আঘাত: দাঁতের ধারালো প্রান্ত, ফিলিংস, মুকুট, ডেনচার, বা অর্থোডন্টিক যন্ত্রপাতি দ্বারা মিউকাস ঝিল্লিতে আঘাত লাগা।
- দুর্ঘটনাক্রমে কামড়ানো: বিশেষ করে চেতনানাশক ব্যবহারের পর সচেতনতা কম থাকলে।
- পুষ্টির ঘাটতি: বিশেষত ভিটামিন বি১২, জিঙ্ক, ফোলিক অ্যাসিড, এবং আয়রনের অভাব।
- অটোইমিউন ডিজিজ: যেমন বেহসেটস ডিজিজ।
- সংক্রমণ: যেমন ভাইরাস সংক্রমণ।
- মানসিক চাপ বা উদ্বেগ: মানসিক চাপ বা উদ্বেগের কারণে মুখের ঘা হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
- হরমোনাল পরিবর্তন: বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে।
মুখের ঘা এর লক্ষণ এবং নিরাময়:
- সাধারণত মুখের ঘা কয়েক দিনের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়।
- মাঝে মাঝে এই ঘা-গুলি প্রচণ্ড ব্যথা ও অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
- যদি মুখের কোন ঘা দীর্ঘ সময় ধরে সারে না, তাহলে এটি মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা:
- দাঁতের সঠিক যত্ন: দাঁত নিয়মিত ব্রাশ করা এবং ফ্লস করা।
- পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ: ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
- মানসিক চাপ কমানো: নিয়মিত ব্যায়াম, মেডিটেশন।
- পেইন রিলিভার ব্যবহার: প্রচণ্ড ব্যথার ক্ষেত্রে ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহার।
- ডাক্তারের পরামর্শ: দীর্ঘস্থায়ী বা গুরুতর ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
মুখের ঘা সাধারণত তেমন গুরুতর কিছু না হলেও, যদি কোন ঘা দীর্ঘদিন ধরে থেকে যায় বা ব্যথা প্রচণ্ড হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মুখে বার বার ঘা হয় কেন?
মৌখিক ঘা (অফথা) হওয়ার সাধারণ কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- দাঁতের ধারালো প্রান্তে ঘষা: দাঁতের প্রান্ত যদি ধারালো হয়, তাহলে এটি মিউকাস ঝিল্লিতে ঘষা লেগে ঘা হতে পারে।
- ফিলিংস, মুকুট, মিথ্যা দাঁত (ডেনচার): সঠিকভাবে বসানো না হলে বা ভেঙে গেলে এগুলি মুখের অভ্যন্তরে ঘষা লেগে ঘা সৃষ্টি করতে পারে।
- অর্থোডন্টিক যন্ত্রপাতি (ধনুর্বন্ধনী): ব্রেসেস বা অন্য কোনো অর্থোডন্টিক যন্ত্র মুখের ভিতরে ঘষা লেগে ক্ষত তৈরি করতে পারে।
- দুর্ঘটনাক্রমে কামড় দেওয়া: মুখের বেদনাদায়ক উদ্দীপনা সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে, বিশেষ করে ডেন্টাল চিকিত্সার সময় চেতনানাশক ব্যবহার করলে, নিজেকে কামড় দিয়ে ঘা হতে পারে।
- পুষ্টির ঘাটতি: বিশেষ করে ভিটামিন বি১২, জিঙ্ক, ফোলিক অ্যাসিড এবং আয়রনের অভাব।
- অটোইমিউন ডিজিজ: যেমন বেহসেটস ডিজিজ।
- সংক্রমণ: যেমন ভাইরাস সংক্রমণ, হেরপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস।
- মানসিক চাপ বা উদ্বেগ: মানসিক চাপ বা উদ্বেগের কারণে মুখের ঘা হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
- হরমোনাল পরিবর্তন: বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিক চক্রের সময়।
- অ্যালার্জি বা খাদ্য সংবেদনশীলতা: কিছু খাবার বা খাবারে উপস্থিত সংরক্ষক ও রঙের উপাদান থেকে অ্যালার্জি বা সংবেদনশীলতা মুখের ঘা সৃষ্টি করতে পারে।
- মুখের শুষ্কতা: পর্যাপ্ত লালার অভাবের কারণে মুখের শুষ্কতা ঘা সৃষ্টি করতে পারে।
- চিকিৎসা: কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন থেরাপি মুখের আলসার সৃষ্টি করতে পারে।
মৌখিক ঘা-এর লক্ষণ এবং নিরাময়:
- সাধারণত মুখের ঘা কয়েক দিনের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়।
- প্রচণ্ড ব্যথা ও অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
- যদি মুখের কোনো ঘা দীর্ঘ সময় ধরে সারে না, তাহলে এটি মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা:
- দাঁতের সঠিক যত্ন: দাঁত নিয়মিত ব্রাশ করা এবং ফ্লস করা।
- পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ: ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
- মানসিক চাপ কমানো: নিয়মিত ব্যায়াম, মেডিটেশন।
- পেইন রিলিভার ব্যবহার: প্রচণ্ড ব্যথার ক্ষেত্রে ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহার।
- ডাক্তারের পরামর্শ: দীর্ঘস্থায়ী বা গুরুতর ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
মুখের ঘা সাধারণত তেমন গুরুতর কিছু না হলেও, যদি কোনো ঘা দীর্ঘদিন ধরে থেকে যায় বা ব্যথা প্রচণ্ড হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মুখের ঘা সারাতে কতদিন লাগে?
মুখের ভেতরে ঘা হলে তা সারতে খানিক সময় লাগে। কারণ মুখের ভেতরে থাকা ব্যাকটেরিয়া ঘা হওয়া জায়গাটিকে সারিয়ে তুলতে বাধা দেয়। ফলে কখনো তা সারতে সপ্তাহ বা মাসও লেগে যেতে পারে। আর যতক্ষণ না ঘা সারছে, ততক্ষণ শুকনো হোক বা তরল, কোনো কিছু খাওয়াই দুরূহ হয়ে ওঠে।
মুখের ঘা সারে ধীরগতিতে কারণসমূহ:
- ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ: মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়া ঘা হওয়া স্থানে সংক্রমণ ঘটিয়ে সারানোর প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে।
- লালার অ্যাসিডিটি: মুখের লালা কিছুটা অ্যাসিডিক হওয়ায় এটি ঘা সেরে উঠতে বাধা দেয়।
- মুখের চলাচল: কথা বলা, খাবার চিবানো, এবং গেলা ঘা-এ ক্রমাগত ঘর্ষণ এবং আঘাত ঘটাতে পারে, যা সেরে উঠতে সময় নেয়।
- ইমিউন প্রতিক্রিয়া: শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা মাঝে মাঝে ঘা-এর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে, যা সারানোর প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়।
মুখের ঘা-এর জন্য সঠিক যত্ন এবং প্রতিকার:
- মুখ পরিষ্কার রাখা: নিয়মিত এবং সঠিকভাবে ব্রাশ এবং মাউথওয়াশ ব্যবহার করে মুখ পরিষ্কার রাখা উচিত।
- লবণ পানি দিয়ে কুলি করা: লবণ পানির গার্গল মুখের ব্যাকটেরিয়া কমাতে সাহায্য করে এবং ঘা সারাতে সহায়ক হতে পারে।
- অ্যান্টিসেপ্টিক জেল বা মাউথওয়াশ: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিসেপ্টিক জেল বা মাউথওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।
- ব্যথা উপশমকারী: প্রচণ্ড ব্যথার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথা উপশমকারী ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
- নরম খাবার খাওয়া: ঘা সারানোর সময় নরম এবং কোমল খাবার খাওয়া উচিত যা ঘা-এ কম আঘাত করবে।
- ভিটামিন এবং মিনারেল সম্পন্ন খাদ্য: ভিটামিন বি১২, জিঙ্ক, ফোলিক অ্যাসিড এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করা উচিত যা ঘা দ্রুত সারাতে সহায়ক।
- মানসিক চাপ কমানো: মানসিক চাপ কমানোর জন্য নিয়মিত ব্যায়াম, মেডিটেশন বা অন্য কোনো রিল্যাক্সেশন টেকনিক ব্যবহার করা যেতে পারে।
- ডাক্তারের পরামর্শ: যদি ঘা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে বা খুব বেশি ব্যথা দেয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মুখের ঘা সাধারণত তেমন গুরুতর কিছু না হলেও, সঠিক যত্ন এবং প্রতিকারের মাধ্যমে এটি দ্রুত সারিয়ে তোলা সম্ভব।
মুখের ইনফেকশন কিভাবে হয়?
মুখের সংক্রমণ সাধারণত মুখের গহ্বরে ব্যাকটেরিয়ার অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে হয়। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কের মুখে কোটি কোটি ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, এবং ছত্রাক থাকে এবং ৫০০ টিরও বেশি বিভিন্ন প্রজাতির প্রতিনিধিত্ব করে। তারা সম্মিলিতভাবে মৌখিক মাইক্রোবায়োম নামে পরিচিত।
মৌখিক মাইক্রোবায়োম এবং সংক্রমণের কারণ:
- ব্যাকটেরিয়ার অত্যধিক বৃদ্ধি: স্বাভাবিক অবস্থায় মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, এবং ছত্রাকের সুষম মাইক্রোবায়োম থাকে। তবে এই সুষমতা নষ্ট হলে ব্যাকটেরিয়ার অত্যধিক বৃদ্ধি ঘটে এবং সংক্রমণ হতে পারে।
- অপরিষ্কার মুখগহ্বর: নিয়মিত সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ এবং ফ্লস না করলে খাদ্যকণা জমে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়, যা সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে।
- ইমিউন সিস্টেম দুর্বলতা: ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হলে মাইক্রোবায়োমের সুষমতা নষ্ট হয়ে সহজেই সংক্রমণ হতে পারে।
- শুষ্ক মুখ: পর্যাপ্ত লালা উৎপাদন না হলে মুখের আর্দ্রতা কমে গিয়ে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যা সংক্রমণের কারণ হতে পারে।
- ব্যথা বা আঘাত: মুখের মধ্যে যে কোনো ক্ষত বা আঘাত সংক্রমণের প্রবেশপথ হিসেবে কাজ করতে পারে।
সাধারণ মৌখিক সংক্রমণসমূহ:
- গিঙ্গিভাইটিস: মাড়ির সংক্রমণ যা রক্তপাত, ফোলাভাব, এবং ব্যথা সৃষ্টি করে।
- পেরিওডোন্টাইটিস: মারাত্মক মাড়ির সংক্রমণ যা দাঁতের হাড়ের ক্ষতি করতে পারে।
- ক্যাভিটি: দাঁতের ক্ষয় যা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা তৈরি হয়।
- থ্রাশ: ছত্রাকের সংক্রমণ যা সাদা স্তর তৈরি করে।
- ক্যানকার সোর: মুখের আলসার যা সংক্রমণের কারণে হতে পারে।
প্রতিকার এবং প্রতিরোধ:
- নিয়মিত মুখের যত্ন: দৈনিক দুবার দাঁত ব্রাশ এবং একবার ফ্লস করা।
- মাউথওয়াশ ব্যবহার: অ্যান্টিসেপ্টিক মাউথওয়াশ মুখের ব্যাকটেরিয়া কমাতে সাহায্য করে।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ।
- পর্যাপ্ত লালা উৎপাদন: চুইং গাম চিবানো বা লালা উৎপাদন বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা।
- নিয়মিত ডেন্টাল চেকআপ: নিয়মিত ডেন্টাল চেকআপ এবং পেশাদার পরিষ্কার করানো।
মুখের সংক্রমণ সাধারণত সঠিক যত্ন এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে, যদি সংক্রমণ মারাত্মক হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মুখের ভিতর সাদা ঘা হলে করণীয়
নুন জল ও বেকিং সোডা দিয়ে গার্গল বা কুলকুচি মুখের ঘা কমাতে এবং উপশম করতে সহায়ক হতে পারে।
নুন জলে গার্গল বা কুলকুচি:
নুন জল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করে এবং মুখের ঘা সেরে উঠতে সাহায্য করে। নুন জল মুখের ব্যাকটেরিয়া কমিয়ে এনে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন:
- এক গ্লাস গরম জলে আধা চা চামচ নুন মিশিয়ে নিন।
- এই মিশ্রণ দিয়ে দিনে ২-৩ বার কুলকুচি করুন।
- প্রতিবার ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট কুলকুচি করুন, তারপর তা থুতু ফেলে দিন।
বেকিং সোডা দিয়ে গার্গল বা কুলকুচি:
বেকিং সোডা পিএইচ ব্যালান্স ঠিক রাখে এবং মুখের অ্যাসিডিক পরিবেশ কমিয়ে এনে ঘায়ের জ্বালা ভাব ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন:
- আধকাপ গরম জলে ১ চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন।
- এই মিশ্রণ দিয়ে দিনে ২-৩ বার কুলকুচি করুন।
- প্রতিবার ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট কুলকুচি করুন, তারপর তা থুতু ফেলে দিন।
বাড়তি কিছু টিপস মুখের ঘা কমানোর জন্য:
- হাইড্রেশন বজায় রাখা: পর্যাপ্ত পানি পান করে মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখুন।
- মসৃণ এবং নরম খাবার খাওয়া: গরম, মসলাদার বা কড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।
- ভিটামিন বি, জিঙ্ক এবং ফোলিক অ্যাসিড গ্রহণ: খাদ্যতালিকায় সাপ্লিমেন্ট বা ভিটামিন যুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন।
- অ্যান্টিবায়োটিক মাউথওয়াশ: যদি ডাক্তারের পরামর্শে প্রয়োজন হয়, তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন।
- স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: মানসিক চাপ কমানোর জন্য রিলাক্সেশন টেকনিক ব্যবহার করুন।
নুন জল ও বেকিং সোডা দিয়ে গার্গল করা প্রাকৃতিক এবং নিরাপদ উপায়ে মুখের ঘা কমাতে সহায়ক। তবে, যদি মুখের ঘা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে বা ব্যথা অত্যাধিক হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
Comments
Post a Comment