Skip to main content

মানুষের মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশ কোনটি?

মানুষের মস্তিষ্ক সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও কোথায় সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না। চিন্তার কোন কারণ নাই মানুষের মস্তিষ্ক সম্পর্কে আজকে আপনাদের সঠিক তথ্য জানাবো। মানুষের মস্তিষ্ক সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।


এখানে আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যেমন মানবদেহের মস্তিষ্ক গঠন ও কার্যক্রম সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক রয়েছে। সেগুলোও বিস্তারিত ভাবে জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে করুন

ভূমিকা

মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশ হল সেরেব্রাম(গুরুমস্তিষ্ক)। মানুষের ক্ষেত্রে সেরিব্রামের অবস্থান ব্রেইনস্টেমের উপরে এবং সামনের দিকে থাকে।সেরেব্রাম দুটি সেরেব্রাল হেমিস্ফিয়ারে বিভক্ত, ডান হেমিস্ফিয়ার এবং বাম হেমিস্ফিয়ার।সেরিব্রাম ইন্দ্রিয় উপলব্ধি, স্মৃতি, চিন্তা এবং বিচারিক ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে এবং সহায়ক সঞ্চালক কার্যক্রমের কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে।

মস্তিষ্কে কি কি থাকে

মস্তিষ্কে মোট ১০০০ কোটি স্নায়ুকোষ বা নিউরন থাকে। এই কোষগুলো বৈদ্যুতিক সংকেতের আকারে অনুভূতি পরিবহন করতে পারে। নিউরনগুলোর দুটি প্রধান অংশ রয়েছে: ডেন্ড্রাইট এবং অ্যাক্সন। ডেন্ড্রাইট হল শাখাপ্রশাখার মত প্রবর্ধক, যা সংকেতগ্রাহক অ্যান্টেনার মত কাজ করে এবং অন্য নিউরন থেকে সংকেত গ্রহণ করে। অ্যাক্সন হল মূল তন্তুর মত অংশ, যা সংকেতকে দূরবর্তী স্নায়ুকোষে প্রেরণ করে।
নিউরনের কার্যক্রম নিম্নরূপ:
ডেন্ড্রাইট: অন্যান্য নিউরন থেকে বৈদ্যুতিক সংকেত গ্রহণ করে এবং এটি নিউরনের কোষ দেহে প্রেরণ করে।
অ্যাক্সন: নিউরনের কোষ দেহ থেকে সংকেত গ্রহণ করে এবং এটিকে অন্য নিউরন, পেশি, বা গ্রন্থির দিকে প্রেরণ করে।
নিউরনের মধ্যে যোগাযোগ ঘটে সিনাপ্স নামক একটি স্থান দিয়ে। সিনাপ্স হল নিউরনের মধ্যে সংকেত পরিবহনের স্থান, যেখানে এক নিউরনের অ্যাক্সন টার্মিনাল এবং অন্য নিউরনের ডেন্ড্রাইটের মধ্যে সংকেত আদানপ্রদান হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিউরনগুলি আমাদের অনুভূতি, চিন্তা, এবং কর্মকে নিয়ন্ত্রণ করে।

ব্রেইন কিভাবে কাজ করে?

শারীরবৃত্তীয়ভাবে, মস্তিষ্ক শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলির উপর কেন্দ্রীভূত নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করে। এটি পেশী কার্যকলাপের প্যাটার্ন তৈরি করে এবং হরমোন নামক রাসায়নিক পদার্থের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে উভয়ভাবেই শরীরের বাকি অংশের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই কেন্দ্রীভূত নিয়ন্ত্রণ পরিবেশের পরিবর্তনের জন্য দ্রুত এবং সমন্বিত প্রতিক্রিয়ার অনুমতি দেয়।
মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণের কিছু মূল দিক:
পেশী কার্যকলাপের প্যাটার্ন তৈরি: মস্তিষ্ক পেশীর চলাচল এবং সমন্বয় নিয়ন্ত্রণ করে। এটি মোটর কর্টেক্স এবং অন্যান্য সংলগ্ন অঞ্চলের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, যা পেশীর সংকোচন এবং শিথিলকরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
হরমোন নিঃসরণ: মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস হরমোন নিঃসরণের জন্য পিটুইটারি গ্রন্থিকে সংকেত দেয়। এই হরমোনগুলি রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে সারা শরীরে পরিবাহিত হয় এবং বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যাড্রেনালিন হরমোন যা স্ট্রেসের প্রতিক্রিয়ায় নিঃসৃত হয় এবং শরীরকে 'fight or flight' প্রতিক্রিয়া জানাতে সহায়তা করে।
দ্রুত এবং সমন্বিত প্রতিক্রিয়া: মস্তিষ্কের এই কেন্দ্রীভূত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাটি পরিবেশের পরিবর্তনের জন্য দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম হয়। উদাহরণস্বরূপ, হঠাৎ বিপদে দৃষ্টিশক্তি বা শ্রবণশক্তি থেকে সংকেত পাওয়ার সাথে সাথেই মস্তিষ্ক পেশী এবং হরমোনের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানায়।
মস্তিষ্কের এই জটিল এবং সমন্বিত কার্যক্রম আমাদের শরীরের সুস্থতা এবং কার্যক্ষমতা নিশ্চিত করে, যা আমাদের বেঁচে থাকা এবং পরিবেশের সাথে মানিয়ে চলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মানুষের মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশ কোনটি?

             মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশ হল সেরেব্রাম(গুরুমস্তিষ্ক)
সেরিব্রাম, ইংরেজিতে যা cerebrum নামে পরিচিত, দুটি বড়, কুন্ডলী পাকানো এবং খাজঁ বিশিষ্ট খন্ড নিয়ে গঠিত। এই খন্ডগুলিকে সেরেব্রাল হেমিস্ফিয়ার বলা হয়। সেরিব্রাম মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশ এবং এটি মস্তিষ্কের অন্যান্য অংশকে আবৃত করে রাখে। খন্ড দুটি ভেতরের দিকে কর্পাস ক্যালোসাম নামে চওড়া স্নায়ুগুচ্ছ দিয়ে যুক্ত। পৃষ্ঠতলে নানা স্থানে ভাজ হয়ে উঁচু-নিচু অবস্থায় থাকে। উঁচু জায়গাকে জাইরাস এবং নিচু জায়গাকে ফিসার বলা হয়।
গঠনপ্রণালি:
মানুষের ক্ষেত্রে সেরিব্রামের অবস্থান ব্রেইনস্টেমের উপরে এবং সামনের দিকে থাকে। মানুষের সেরিব্রাম সবচেয়ে বড় এবং উন্নত, যা পাঁচটি বৃহত্তম খণ্ডে বিভক্ত। phylogenetic অনুসারে স্তন্যপায়ীদের সেরিব্রাম অন্য সকল প্রজাতির চেয়ে বড় এবং উন্নততর।
সেরিব্রাম দুটি খাজবিশিষ্ট অংশ নিয়ে গঠিত, যাকে সেরেব্রাল হেমিস্ফিয়ার বলা হয়। সেরিব্রামের বাইরের দিকের স্তর গ্রে ম্যাটার দিয়ে গঠিত, একে সেরেব্রাল কর্টেক্স বলে। এর নিচের স্তরকে হোয়াইট ম্যাটার বলা হয়। এর subcortical গঠনপ্রণালিতে হিপোক্যাম্পাস, বাসাল গ্যাংলিয়া এবং ওলফ্যাক্টরি বাল্ব অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সেরিব্রামের দুটি হেমিস্ফিয়ার lateral sulcus দ্বারা পৃথক থাকে।
সেরেব্রাল কর্টেক্স:
সেরেব্রাল কর্টেক্স, যা গ্রে ম্যাটার দিয়ে গঠিত, শুধুমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণীতে পাওয়া যায়। বড় স্তন্যপায়ী, যেমন মানুষের ক্ষেত্রে, সেরেব্রাল কর্টেক্সের পৃষ্ঠতল ভাজ হয়ে জাইরাস এবং সালসাই গঠন করে, যা surface area বৃদ্ধি করে।
সেরেব্রাল কর্টেক্স সাধারণত চারটি লোবে বিভক্ত: ফ্রন্টাল, প্যারাইটাল, টেম্পোরাল, এবং অক্সিপিটাল লোব।
সেরেব্রাল হেমিস্ফিয়ার:
সেরেব্রাম দুটি সেরেব্রাল হেমিস্ফিয়ারে বিভক্ত, ডান হেমিস্ফিয়ার এবং বাম হেমিস্ফিয়ার। ডান হেমিস্ফিয়ার শরীরের বাম অংশের সিগন্যাল গ্রহণ করে এবং নিয়ন্ত্রণ করে, আর বাম হেমিস্ফিয়ার তার উল্টোটা করে। দুই হেমিস্ফিয়ারের মধ্যে শক্তিশালী bilateral symmetry থাকলেও কার্যক্রমের কিছু পার্থক্য রয়েছে।
কাজ:
সেরিব্রাম সংবেদী অঙ্গ থেকে আসা অনুভূতি গ্রহণ ও বিশ্লেষণ করে। এটি চিন্তা, বুদ্ধি, ইচ্ছাশক্তি, উদ্ভাবনীশক্তি ইত্যাদি উন্নত মানসিক বোধ নিয়ন্ত্রণ করে। সেরিব্রাম শরীরের সচেতন বা স্বইচ্ছায় চালিত সঞ্চালক পেশির কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। এই কাজগুলো প্রাথমিক সঞ্চালক কোরটেক্স এবং অন্যান্য ফ্রন্টাল লোব অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয় যেখানে কর্ম পরিকল্পনা করা হয়। কোরটেক্সের সঞ্চালক অঞ্চলের ক্ষতি হলে বিশেষ ধরনের সঞ্চালক নিউরণ রোগ হতে পারে, যা পেশির ক্ষমতা বিনষ্ট করা এবং প্যারালাইসিস ঘটাতে পারে।
সেরিব্রাম ইন্দ্রিয় উপলব্ধি, স্মৃতি, চিন্তা এবং বিচারিক ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে এবং সহায়ক সঞ্চালক কার্যক্রমের কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে।

মানবদেহের মস্তিষ্ক গঠন ও কার্যক্রম (Biology Notes)

মানবদেহের মস্তিষ্ক একটি উল্লেখযোগ্য অঙ্গ যা শরীরের কমান্ড কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে। এই আর্টিকেলে, মানবদেহের মস্তিষ্কের গঠন, মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ ও তাদের কাজ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
মস্তিষ্কের গঠন
মানবদেহের মস্তিষ্ক নিউরন এবং বিভিন্ন বিশেষ অংশ নিয়ে গঠিত। মস্তিষ্ক আমাদের আচরণ, আবেগ এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুষুম্নাকান্ডের অগ্রভাগে অবস্থিত ও করোটি দ্বারা সুরক্ষিত কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের স্ফীত যে অংশটিতে প্রাণীদের বুদ্ধি, চিন্তা, স্মৃতি ইত্যাদি স্নায়বিক আবেগ নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে মস্তিস্ক বলে। মানুষের মস্তিষ্কের ওজন প্রায় ১.৩৬ কেজি এবং এতে প্রায় ১০০০ কোটি স্নায়ুকোষ এবং ততোধিক নিউরোগ্লিয়া থাকে। মানুষের মস্তিস্ক তিনটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত: অগ্র মস্তিস্ক বা প্রোসেনসেফালন, মধ্য-মস্তিস্ক বা মেসেনসেফালন, এবং পশ্চাদ-মস্তিস্ক বা রমবেনসেফালন।
মস্তিষ্কের প্রধান তিনটি অংশের অবস্থান ও কাজ
মস্তিষ্কের প্রধান তিনটি অংশের অবস্থান ও কাজ নিচের টেবিলে দেওয়া হলো:
মস্তিষ্কের অংশ অবস্থান প্রধান কাজ
গুরুমস্তিস্ক বা সেরিব্রাম অগ্র মস্তিস্ক বুদ্ধি, চিন্তা, স্মৃতি ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ
লঘুমস্তিস্ক বা সেরিবেলাম পশ্চাদ মস্তিস্ক প্রাণীদেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ।
সুষুম্নাশীর্ষক বা ব্রেনস্টেম পশ্চাদ মস্তিস্ক হৃদস্পন্দন, শ্বাসক্রিয়া, ঘাম নিঃসরণ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ
মানবদেহের মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ ও তাদের কাজ
মানব মস্তিষ্ক একটি জটিল অঙ্গ যা বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় করে। এটি বিভিন্ন অংশে বিভক্ত, প্রতিটির নিজস্ব বিশেষ কাজ রয়েছে। নিম্নে মস্তিষ্কের কিছু প্রধান অংশ নিয়ে আলোচনা করা হলো:
১. অগ্র মস্তিস্ক (Prosencephalon)
  • টেলেনসেফালন:
    • গুরুমস্তিস্ক: বুদ্ধি, চিন্তা, স্মৃতি, ভাষা এবং স্বেচ্ছাসেবী আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করে।
    • রেখমস্তিস্ক: বিভিন্ন রকম পেশী সঞ্চালন এবং কিছু প্রতিবর্ত ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
    • নাসামস্তিস্ক: ঘ্রাণ অনুভূতি গ্রহণে সহায়তা করে।
  • ডায়েনসেফালন:
    • থ্যালামাস: চাপ, তাপ, স্পর্শ, বেদনা ইত্যাদি অনুভূতির প্রেরক স্থান।
    • হাইপোথ্যালামাস: হাসি, কান্না, ভয়, ক্রোধ, প্রভৃতি মানসিক আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে।
    • এপিথ্যালামাস ও মেটাথ্যালামাস: বিভিন্ন সংবেদনশীল তথ্য প্রক্রিয়াকরণে সহায়তা করে।
২. মধ্য মস্তিস্ক (Mesencephalon)
  • টেকটাম:দর্শন ও শ্রবণ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • গুরুমস্তকীয় নার্ভদন্ড: অক্ষিগোলকের বিচলন এবং আলোক প্রতিবর্ত নিয়ন্ত্রণ করে।
৩. পশ্চাদ মস্তিস্ক (Rhombencephalon)
  • মেটেনসেফালন:
    • লঘুমস্তিস্ক বা সেরিবেলাম: দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে।
    • পনস বা যোজক: মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে।
  • মায়েলেনসেফালন:
    • সুষুম্নাশীর্ষক বা মেডুলা অবলংগাটা: হৃদস্পন্দন, শ্বাসক্রিয়া, খাদ্যগ্রহণ ও ঘাম নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে।

মস্তিষ্কের প্রধান অংশ এবং তাদের কাজ

  • সেরিব্রাম: সচেতন চিন্তা, সংবেদনশীল উপলব্ধি, স্মৃতি, ভাষা এবং স্বেচ্ছাসেবী আন্দোলনের জন্য দায়ী। এটি দুটি গোলার্ধে বিভক্ত (বাম এবং ডান) এবং আরও চারটি লোবে বিভক্ত: ফ্রন্টাল, প্যারাইটাল, টেম্পোরাল এবং অক্সিপিটাল।
    • ফ্রন্টাল লোব: কার্যনির্বাহী ফাংশন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, পরিকল্পনা, সমস্যা সমাধান, যুক্তি এবং স্বেচ্ছাসেবী আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করে। এটি প্রাথমিক মোটর কর্টেক্সও রাখে যা পেশী আন্দোলন শুরু করার জন্য দায়ী।
    • প্যারাইটাল লোব: স্পর্শ, তাপমাত্রা, ব্যথা, চাপ এবং স্থানিক সচেতনতা সহ সংবেদনশীল তথ্য প্রক্রিয়াকরণের সাথে জড়িত।
    • টেম্পোরাল লোব: শ্রবণ প্রক্রিয়াকরণ, ভাষা বোঝা, স্মৃতি গঠন এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণের সাথে জড়িত।
    • অক্সিপিটাল লোব: ভিজ্যুয়াল তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য দায়ী।
  • সেরিবেলাম: স্বেচ্ছাসেবী আন্দোলন, ভারসাম্য, অঙ্গবিন্যাস এবং মোটর শিক্ষার সমন্বয়ের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • ব্রেনস্টেম: শ্বাস-প্রশ্বাস, হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ, ঘুমের চক্র, এবং গিলে ফেলা ও চোখের নড়াচড়ার মতো মৌলিক মোটর ফাংশন নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রেনস্টেম তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত: মিডব্রেন, পনস এবং মেডুলা অবলংগাটা।
  • থ্যালামাস: সংবেদনশীল তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য সেরিব্রাল কর্টেক্সে সংকেত নির্দেশ করে।
  • হাইপোথ্যালামাস: শরীরের তাপমাত্রা, ক্ষুধা, তৃষ্ণা, হরমোন নিঃসরণ, ঘুম-জাগরণ চক্র এবং মানসিক প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এটি হোমিওস্ট্যাসিস বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং পিটুইটারি গ্রন্থি নিয়ন্ত্রণ করে।
  • হিপ্পোক্যাম্পাস: দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি গঠন এবং স্থানিক নেভিগেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মস্তিষ্কের এই জটিল এবং সমন্বিত কার্যক্রম আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য এবং এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সমস্ত কার্যকলাপের মূল কেন্দ্র।

মস্তিষ্কের তরলের নাম কি?

মস্তিষ্কের ভেন্ট্রিকল এবং সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড (CSF)
মানবদেহের মস্তিষ্কের ভেন্ট্রিকল হল গভীরে অবস্থিত কিছু শূন্যস্থান যা সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড (CSF) উৎপাদন ও সঞ্চালনের জন্য দায়ী। এই ভেন্ট্রিকলগুলো মস্তিষ্কের মধ্যে অবস্থিত এবং সিএসএফ-এর সঞ্চালন ও রিসার্কুলেশন সিস্টেমের অংশ।
ভেন্ট্রিকল:
মানুষের মস্তিষ্কে চারটি প্রধান ভেন্ট্রিকল আছে:
ল্যাটেরাল ভেন্ট্রিকল (দুটি): মস্তিষ্কের প্রতিটি হেমিস্ফিয়ারে একটি করে অবস্থিত।
  • থার্ড ভেন্ট্রিকল: ডাইএনসেফালনের মধ্যে অবস্থিত, যা ল্যাটেরাল ভেন্ট্রিকলের সাথে ফোরামেন অব মনরো দ্বারা সংযুক্ত।
  • ফোর্থ ভেন্ট্রিকল: এটি ব্রেনস্টেমের উপর এবং সেরিবেলামের নিচে অবস্থিত। এটি সিলভিয়ান অ্যাকোয়াডাক্টের মাধ্যমে থার্ড ভেন্ট্রিকলের সাথে সংযুক্ত।
সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড (CSF) উৎপাদন ও সঞ্চালন
সিএসএফ মূলত ক্লোরয়েড প্লেক্সাসে উৎপন্ন হয়, যা ভেন্ট্রিকলগুলির ভিতরে অবস্থিত বিশেষ কোষ। উৎপন্ন সিএসএফ নিম্নলিখিত পথ অনুসরণ করে সঞ্চালিত হয়
ল্যাটেরাল ভেন্ট্রিকল: ল্যাটেরাল ভেন্ট্রিকল থেকে সিএসএফ ফোরামেন অব মনরো (ইন্টারভেন্ট্রিকুলার ফোরামেন) দিয়ে থার্ড ভেন্ট্রিকলে প্রবেশ করে।
  • থার্ড ভেন্ট্রিকল: থার্ড ভেন্ট্রিকল থেকে সিএসএফ সিলভিয়ান অ্যাকোয়াডাক্ট (সেরিব্রাল অ্যাকোয়াডাক্ট) দিয়ে ফোর্থ ভেন্ট্রিকলে প্রবাহিত হয়।
  • ফোর্থ ভেন্ট্রিকল: ফোর্থ ভেন্ট্রিকল থেকে সিএসএফ কেন্দ্রীয় নালী এবং সাবঅ্যারাকনয়েড স্পেসের মাধ্যমে মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডে ছড়িয়ে পড়ে।
সিএসএফ এর শোষণ
মস্তিষ্কের অ্যানারকয়েড গ্র্যানুলেশনের মাধ্যমে সিএসএফ শোষিত হয় এবং রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করে। এটি মস্তিষ্কের ভেন্ট্রিকুলার সিস্টেম এবং সাবঅ্যারাকনয়েড স্পেস থেকে শোষিত হয়ে দেহের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়।
সিএসএফ এর ভূমিকা:
  • ধাক্কারোধী গদি: মস্তিষ্ককে মেকানিক্যাল আঘাত থেকে রক্ষা করা।
  • বায়োকেমিক্যাল ভারসাম্য: মস্তিষ্কের চারপাশের পরিবেশকে বজায় রাখা এবং অপচয় পদার্থ সরিয়ে ফেলা।
  • রক্তসংবহন নিয়ন্ত্রণ: মস্তিষ্কের স্বনিয়ন্ত্রিত কার্যক্রমের আওতায় রক্তসংবহন নিয়ন্ত্রণ করা।
লাম্বার পাংচার
সিএসএফ-এর নমুনা সংগ্রহ করতে হলে লাম্বার পাংচার পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এর মাধ্যমে সিএসএফ এর চাপ নির্ণয়, সংক্রমণ এবং অন্যান্য স্নায়বিক সমস্যা নির্ণয় করা সম্ভব হয়।
সারসংক্ষেপে, মস্তিষ্কের ভেন্ট্রিকল এবং সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড মানবদেহের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি মস্তিষ্কের রক্ষা, পুষ্টি ও বর্জ্য অপসারণে সহায়তা করে, যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে অত্যাবশ্যক।
সেরিব্রোস্পাইনাল তরল (Cerebrospinal Fluid - CSF)
সেরিব্রোস্পাইনাল তরল (CSF) হচ্ছে মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডে থাকা এক প্রকার স্বচ্ছ ও বর্ণহীন বহিঃকোষীয় তরল যা মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডের চারপাশে সঞ্চারিত হয়। এই তরলের প্রধান কাজ হল মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডকে মেকানিক্যাল এবং অনাক্রম্যগত প্রতিরক্ষা প্রদান করা।
উৎপত্তি ও সঞ্চালন:
সিএসএফ উৎপন্ন হয় মস্তিষ্কের প্রকোষ্ঠের ক্লোরয়েড প্লেক্সাসে থাকা বিশেষ ধরনের এপেন্ডাইমাল কোষের থেকে। প্রতিদিন প্রায় ৫০০ মিলিলিটার সিএসএফ উৎপন্ন হয় এবং যে-কোনো সময় শরীরে প্রায় ১২৫ মিলিলিটার সিএসএফ জমা থাকে। উৎপন্ন সিএসএফ অ্যানারকয়েড গ্র্যানুলেশনে শোষিত হয়।
কাজ:
ধাক্কারোধী গদি: সিএসএফ মস্তিষ্কের জন্য ধাক্কারোধী গদির মতো কাজ করে। এটি মস্তিষ্ককে মেকানিক্যাল আঘাত থেকে রক্ষা করে।
প্রতিরক্ষা: সিএসএফ মস্তিষ্ককে অনাক্রম্যগত প্রতিরক্ষা প্রদান করে, ফলে মস্তিষ্ক সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকে।
রক্তসংবহন নিয়ন্ত্রণ: সিএসএফ মস্তিষ্কের স্বনিয়ন্ত্রিত কার্যক্রমের আওতায় রক্তসংবহন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
অবস্থান:
সিএসএফ মস্তিষ্কের সাবঅ্যারাকনয়েড অংশ (অ্যারাকনয়েড ম্যাটার ও পিয়া ম্যাটারের মধ্যবর্তী অংশ), মস্তিষ্ক ঘিরে ও অভ্যন্তরে থাকার প্রকোষ্ঠীয় তন্ত্র, এবং সুষুম্নাকাণ্ড জুড়ে উপস্থিত থাকে। মস্তিষ্কের প্রকোষ্ঠ, সাবঅ্যারাকনয়েড সিস্টার্ন, সাল্কাস, এবং সুষুম্নাকাণ্ডের কেন্দ্রীয় নলও সিএসএফ দ্বারা পূর্ণ থাকে।
রোগনির্ণয় ও পর্যবেক্ষণ:
সিএসএফ-এর নমুনা সংগ্রহ করার জন্য লাম্বার পাংচার পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এর মাধ্যমে অন্তঃকরোটি চাপ নির্ণয় করা সম্ভব এবং মস্তিষ্কের বিভিন্ন সংক্রমণ বা মেনিনজেসের সংক্রমণজনিত রোগ নির্ণয় করা যায়।
ইতিহাস:
প্রাচীন গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটিসের নথিতে সেরিব্রোস্পাইনাল তরলের উপস্থিতির কথা জানা গেলেও আঠারো শতকে সুইডিশ বিজ্ঞানী ইমানুয়েল শয়েডবর্গকে এর আবিষ্কারের কৃতিত্ব দেওয়া হয়। ১৯১৪ সালে মার্কিন স্নায়ুশল্যচিকিৎসক হার্ভি কাশিং প্রমাণ করেন যে সেরিব্রোস্পাইনাল তরল মস্তিষ্কের ক্লোরয়েড প্লেক্সাস থেকে নিঃসরিত হয়।
তথ্যসূত্র ও বহিঃসংযোগ:
  • সেরিব্রোস্পাইনাল তরল (সিএসএফ) সংবহন: ইন্টারেক্টিভ সরঞ্জাম
  • নিউরোপ্যাথোলজিতে কোর্স উপাদান: সেরিব্রোস্পাইনাল তরল
  • সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড সিস্টেম ডায়নামিক্স সনাক্তকরণ: ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত
  • এই তথ্যগুলি সেরিব্রোস্পাইনাল তরলের গঠন, উৎপত্তি, কার্যক্রম এবং রোগনির্ণয়ের জন্য ব্যবহারিক গুরুত্ব তুলে ধরেছে।

Comments

Popular posts from this blog

আরএফএল ইউপিভিসি পাইপ মূল্য তালিকা ২০২৪

আরএফএল ইউপিভিসি পাইপ মূল্য তালিকা নিয়ে আজকে আলোচনা করা হবে। সাধারণত আমরা যখন বাড়ি ঘর তৈরি করি তখন আমাদের পাইপের প্রয়োজন হয়। তাই আগে থেকেই আমরা ৬ ইঞ্চি পাইপের দাম ২০২৪ সম্পর্কে জেনে রাখবো। বাড়ি তৈরি করতে যে সকল পণ্য প্রয়োজন এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পাইপ। এই আর্টিকেলে আরএফএল ইউপিভিসি পাইপ মূল্য তালিকা এবং ৬ ইঞ্চি পাইপের দাম ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আরএফএল ইউপিভিসি পাইপ মূল্য তালিকা আরএফএল ইউপিভিসি পাইপ মূল্য তালিকা সম্পর্কে আছে আলোচনা করা হবে। আরএফএল ইউপিভিসি পাইপ বাজারে বেশ জনপ্রিয় এবং এর গুণগত মানের জন্য ঘর-বাড়ি নির্মাণে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু পাইপের মাধ্যমে পানি, নিকাশি, এবং অন্যান্য তরল পদার্থ পরিচালনা করা হয়, তাই ভালো মানের পাইপ নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। আরএফএল ইউপিভিসি পাইপের দাম বিভিন্ন আকার এবং ধরনের ওপর নির্ভর করে। সাধারণত ইউপিভিসি পাইপের দাম নিচের বিষয়গুলোর ওপর নির্ভর করে: পাইপের ব্যাস (Diameter): বিভিন্ন আকারের পাইপ যেমন 0.5 ইঞ্চি, 1 ইঞ্চি, 1.5 ইঞ্চি থেকে শুরু করে 4 ইঞ্চি বা তারও বেশি আকারে পাওয়া যায়। পাইপের পুরুত্ব (Thickness): পানির চাপ এ...

ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় - ৪০ দিনে ধনী হওয়ার আমল

ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় জেনে নেওয়া যাক। ইসলামে প্রতিটি বিষয়ের একটি সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে তাই ধনী হতে হলে আমাদের ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায় গুলো জেনে তারপরে ধনী হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আপনি যদি একজন মুসলিম ঘরের সন্তান হয়ে থাকেন এবং ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেল আপনার জন্যই। এখানে আমরা ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায় গুলো আলোচনা করব। ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন। ইসলামে ধনী হওয়া এবং জীবিকার পদ্ধতি সম্পর্কে কিছু বিশেষ দিক এবং নীতি রয়েছে, যা আল্লাহর পথে থেকে সফল হওয়ার জন্য অনুসরণ করতে হয়। আপনার বর্ণিত উপায়গুলোর মধ্যে কয়েকটি ইসলামে উল্লেখিত। আসুন একটু বিস্তারিতভাবে দেখি ইসলামে কীভাবে বৈধভাবে ধনী হওয়া যায়: ১. আল্লাহর কাছে দোয়া করা: ধনী হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে শুধু ধনী হওয়ার জন্য নয়, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং আমাদের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য দোয়া করা উচিত। উপরে উল্লেখিত দোয়াটি এক ধরনের ইস্তিগফার, যা আমাদের পাপ ক্ষমা...

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধের নাম

প্রিয় পাঠক, মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য হোমিওপ্যাথি ঔষধের নাম এবং তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি এই বিষয়ে আগ্রহী থাকেন, তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে কথা বলা এবং শোনা দুজনের জন্যই অনেক সময় বিব্রতকর হতে পারে। ভূমিকা মুখের দুর্গন্ধ একটি অস্বস্তিকর সমস্যা যা ব্যক্তিগত এবং সামাজিক জীবনে সমস্যা তৈরি করতে পারে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি এবং চিকিৎসা রয়েছে। আজকের আলোচনায় আমরা মুখের দুর্গন্ধের কারণ, স্প্রে, হোমিওপ্যাথি এবং এলোপ্যাথি ওষুধ, ঘরোয়া প্রতিকার এবং মাউথ ওয়াশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। মুখে দুর্গন্ধ কেন হয় মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধ ব্যবহারের পূর্বে, এর কারণ সমূহ সম্পর্কে ধারণা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। নিচে কিছু সাধারণ কারণ এবং সেই অনুযায়ী সম্ভাব্য হোমিও ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো: মুখের দুর্গন্ধের কারণ সমূহ: ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ: কারণ: দাঁতের ফাঁকে খাবারের কণা জমা এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ। হোমিও ঔষধ: Merc Sol, Hepar Sulph পেটের সমস্যা (যেমন লিভারের সমস্যা): কারণ: হজম সমস্যা এবং ল...