অতিরিক্ত ঘাম একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি বেশ বিব্রতকর হতে পারে, বিশেষ করে
হাতের তালু, পায়ের পাতা, এবং বগলে। চিন্তার কোন কারণ নেই আজকের এই আর্টিকেল থেকে
জেনে নিন । তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে হাত পা ঘামার হোমিও
চিকিৎসা,হাত পা ঘামা থেকে মুক্তির উপায় এই সম্পর্কেও সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।তাই
দেরি না করে চলুন জেনে নেয়া যাক বিষয়গুলো।
ভূমিকা
আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে। এই
আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে হাত ও পা ঘামা প্রতিকারের উপায়,হাত পা
ঘামা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়,ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধ এগুলো সহ আরো
অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা আছে ।আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি
সমস্ত বিষয়ে সঠিক ধারণা পাবেন, তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।
চলুন তাহলে আর দেরি না করে আজকের বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নিই।
মানুষের হাত ঘামে কেন?
শরীরে থাইরয়েড হরমোন বেড়ে গেলে (হাইপারথাইরয়েডিজম) হাত ও পায়ের তালু ঘামে।
থাইরয়েড হরমোন বেড়ে যাওয়ার ফলে শুধু ঘামই নয়, আরও কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।
থাইরয়েড হরমোন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ:
- ওজন কমে যাওয়া: স্বাভাবিক খাদ্য গ্রহণের পরও শরীরের ওজন দ্রুত কমে যেতে পারে।
- বেশি খিদে পাওয়া: থাইরয়েড হরমোন বেড়ে গেলে অতিরিক্ত খিদে লাগতে পারে।
- বুক ধড়ফড় করা: হৃদস্পন্দন দ্রুত বা অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে।
- হাত ও পায়ের তালু ঘামা: ঘামের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
অতিরিক্ত ঘামের অন্যান্য কারণ:
- মানসিক চাপ বা উদ্বেগ: মানসিক চাপ বা উদ্বেগ থেকেও অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
- হরমোনের পরিবর্তন: বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে মেনোপজের সময় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
- বিভিন্ন রোগের কারণে: যেমন, ডায়াবেটিস, ইনফেকশন, এবং কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার কারণে ঘাম হতে পারে।
- ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
করণীয়:
থাইরয়েড হরমোন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
উচিত। চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক চিকিৎসা নির্ধারণ
করবেন। এছাড়া অতিরিক্ত ঘামের সমস্যার কারণ নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহণ করতে হবে।
হাত পা ঘামার হোমিও চিকিৎসা
উল্লেখিত হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলি অতিরিক্ত ঘাম (হাইপারহাইড্রোসিস) এবং তার সাথে
সম্পর্কিত অন্যান্য লক্ষণগুলির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। প্রতিটি ওষুধ নির্দিষ্ট
অবস্থার জন্য উপযোগী:
- ক্যালকেরিয়া কার্ব (Calcarea Carbonica): মাথার ত্বকে প্রচুর ঘামের জন্য।
- সিলিসিয়া (Silicea): হাত, পা এবং বগলে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া।
- সালফার (Sulphur): অত্যধিক ঘাম এবং তাপ সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জন্য, যাদের ঘাম থেকে অত্যন্ত আপত্তিকর গন্ধ হয়।
- মার্ক সল (Mercurius Solubilis): সারা শরীরে প্রচুর ঘাম হওয়ার জন্য, যা রাতে খারাপ হয়ে যায় এবং ঘাম আপত্তিকর বা টক প্রকৃতির।
- ফসফরাস (Phosphorus): সারা গায়ে ক্লান্তিকর ঘাম, ঘুম থেকে ওঠার পর ঘাম, এবং ঘামের গন্ধ রসুনের মতো।
- ল্যাকটিক অ্যাসিড (Lactic Acid): পায়ের অপ্রতিরোধ্য ঘাম।
- বেলাডোনা (Belladonna): আচ্ছাদিত অংশে ঘাম, ঘুমের সময় ঘটে, হঠাৎ ঘটছে এবং হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে।
- সালফিউরিক এসিড (Sulphuric Acid): অত্যাধিক ঘাম।
- ম্যাগনেসিয়া মুরিটিকা (Magnesia Muriatica): মাথা ঘামানোর প্রবল প্রবণতা।
- মার্কিউরিয়াস (Mercurius): সমস্ত অভিযোগের সাথে প্রচুর ঘাম, যা স্বস্তি দেয় না, শ্বাস এবং শরীরে দুর্গন্ধ।
- সাম্বুকাস নিগ্রা (Sambucus Nigra): ঘুম থেকে ওঠার সময় সারা শরীরে প্রচুর ঘাম, ঘুমাতে গেলে শুকনো তাপ ফিরে আসে।
- ক্র্যাটেগাস (Crataegus): অত্যাধিক ঘাম, চামড়া বিস্ফোরণ।
- সিনকোনা (Cinchona): ক্লান্তিকর রাতের ঘাম, মুখে আংশিক ঠান্ডা ঘাম, সারা শরীরে তৃষ্ণা।
এই ওষুধগুলি ব্যবহারের আগে একজন যোগ্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সঠিক রোগ নির্ণয় এবং রোগীর ব্যক্তিগত লক্ষণগুলির
ভিত্তিতে উপযুক্ত ওষুধ নির্ধারণ করতে হবে।
হাত, পা অতিরিক্ত ঘামার কারণ ও নিয়ন্ত্রণের উপায়
ঘাম দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া হলেও অতিরিক্ত ঘাম
হওয়া, বিশেষ করে হাত ও পা ঘামা, অস্বস্তিকর হতে পারে এবং শারীরিক জটিলতার ইঙ্গিত
দিতে পারে। চিকিৎসা-বিজ্ঞানে অতিরিক্ত ঘামকে ‘হাইপারহাইড্রোসিস’ বলা হয়। এটি পুরো
শরীরের পাশাপাশি নির্দিষ্ট জায়গাতেও হতে পারে, যেমন- হাতের তালু, পায়ের তলা,
বাহুমূল এবং মুখ।
হাত ও পা ঘামা প্রতিকারের উপায়
অতিরিক্ত ঘাম সম্পূর্ণরূপে প্রতিকার করা সম্ভব না হলেও কিছু পদ্ধতি অনুসরণের
মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
সাধারণ পরামর্শ:
- হাত-পা পরিষ্কার রাখা: নিয়মিত হাত-পা পরিষ্কার রাখা ঘামের তীব্রতা ও অস্বস্তি কমাতে সহায়তা করে।
- অ্যান্টিপার্সপারেন্টস ব্যবহার করা: বিশেষত হাত ও পায়ের জন্য তৈরি অ্যালুমিনাম ক্লোরাইড সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করা।
- বাতাস চলাচল করে এমন জুতা পরা: প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি যেমন চামড়া বা ক্যানভাস কাপড়ের জুতা পরা, যাতে পায়ে বাতাস চলাচল করতে পারে এবং আর্দ্রতা জমতে না পারে।
- আর্দ্রতা শুষে নেয় এমন মোজা পরা: সুতি বা বাঁশের তন্তুর তৈরি মোজা ব্যবহার করা, যা হাত ও পায়ের বাড়তি ঘাম শুষে নেয়।
- ট্যালকম পাউডার ব্যবহার: ট্যালকম পাউডার বা কর্নস্টার্চ ব্যবহার করা, যা আর্দ্রতা শুষে নেয় এবং অতিরিক্ত ঘাম কমাতে সহায়তা করে।
আরো পড়ুনঃ১১
ঘরোয়া প্রতিকার:
- ব্ল্যাক টি: প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট হাত ও পা ব্ল্যাক টিতে ভিজিয়ে রাখা। এতে থাকা ট্যানিন প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিজান্ট হিসেবে কাজ করে, যা ঘাম কমাতে সহায়তা করে।
- অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: ভিনিগার ও পানির মিশ্রণে ১৫-২০ মিনিট হাত ও পা ডুবিয়ে রাখা, যা ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ঘাম কমায়।
- বেইকিং সোডা: বেইকিং সোডার সাথে পানি মিশিয়ে তাতে হাত ও পা ডুবিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি প্রাকৃতিক শুষ্কতা উপাদান সমৃদ্ধ যা ঘাম কমাতে সহায়তা করে।
- লেবুর রস: তাজা লেবুর রস হাতের তালুতে ঘষে শুকানোর পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- চন্দনের গুঁড়া: চন্দনের গুঁড়া পানিতে গুলে পেস্ট তৈরি করে হাত ও পায়ের তালুতে মেখে শুকানোর পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
- কর্পুর: সামান্য গরম পানিতে কর্পুর গুলে ১৫-২০ মিনিট হাত ও পা ডুবিয়ে রাখা বা কর্পুরের গুঁড়ার সাথে ট্যালকম পাউডার বা নারিকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করা।
উপসংহার
ক্রমাগত হাত ও পা ঘামা বিরক্তিকর হতে পারে। তবে সঠিকভাবে খেয়াল রেখে এবং নিয়মিত
উপরের পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করলে ঘামার প্রকোপ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।
হাত পা ঘামা থেকে মুক্তির উপায়
অতিরিক্ত ঘাম একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি বেশ বিব্রতকর হতে পারে, বিশেষ করে
হাতের তালু, পায়ের পাতা, এবং বগলে। এখানে কিছু ঘরোয়া উপায় দেওয়া হলো যা অতিরিক্ত
ঘাম প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে:
ঘরোয়া উপায়:
১. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার:
- প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট উপাদান: ত্বকের লোমকূপ টানটান করে অতিরিক্ত ঘাম নির্গত হওয়া বন্ধ করতে সাহায্য করে এবং শরীরের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখে।
- ব্যবহার পদ্ধতি:
- রাতে ঘুমানোর আগে হাত ও পা হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
- তুলার সঙ্গে অপরিশোধিত অ্যাপেল সিডার ভিনেগার নিয়ে হাত ও পায়ের তালুতে লাগিয়ে সারা রাত রাখুন।
- সকালে গোসলের পর সামান্য বেবি পাউডার লাগিয়ে নিন।
- সংবেদনশীল ত্বক হলে ভিনেগারের সাথে সম-পরিমাণ পানি মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
২. পানি:
- শরীর ঠাণ্ডা করতে ও ঘাম নিয়ন্ত্রণে আনতে: পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
- ব্যবহার পদ্ধতি:
- সারাদিনে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করুন।
- বিরতি দিয়ে বারবার পানি দিয়ে হাত ধোয়ার চেষ্টা করুন।
৩. গোলাপজল:
- প্রাকৃতিক উপাদান: দোকানে কিনতে পাওয়া যায় বা ঘরে তৈরি করতে পারেন।
- ব্যবহার পদ্ধতি:
- কিছু তাজা গোলাপের পাপড়ি এক কাপ পানিতে ১৫ মিনিটের মতো ফুটিয়ে নিন।
- পানিটুকু ছেঁকে নিয়ে একটি এয়ার টাইট বোতলে সংরক্ষণ করুন।
- তুলার সাহায্যে এই পানি হাত-পায়ের তালুতে ব্যবহার করুন।
৪. গ্রিন টি:
- প্রাকৃতিক লোমকূপ বন্ধকারী: ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে।
- ব্যবহার পদ্ধতি:
- প্রতিদিন দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি পান করুন।
- গ্রিন টির মধ্যে কিছু বরফ রেখে, সেই পানিতে তুলা ভিজিয়ে হাত ও পায়ের তালুতে ম্যাসাজ করুন।
৫. বেকিং সোডা:
- ক্ষারীয় উপাদান: হাত-পায়ের তালু ঘামা প্রতিরোধের অন্যতম সেরা উপাদান।
- ব্যবহার পদ্ধতি:
- গরম পানিতে তিন টেবিল চামচ বেকিং সোডা মেশান।
- এই পানিতে আধা ঘণ্টার মতো হাত ও পা ডুবিয়ে রাখুন।
- পানির নিচে জমে থাকা বেকিং সোডার সাথে হাত ঘষুন এবং শুকনা কাপড় দিয়ে হাত মুছে ফেলুন।
৬. লেবুর রস:
- প্রাকৃতিক ডিওডরেন্ট: ত্বক শুকিয়ে ঘাম কমাতে সাহায্য করে।
- ব্যবহার পদ্ধতি:
- কয়েক ফোঁটা লেবুর রস হাত-পায়ের তালুতে লাগিয়ে নিন।
- ত্বক সেনসিটিভ হলে লেবুর রসের সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে নিন।
- লেবুর রসের সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে হাত-পায়ের তালুতে ঘষুন।
৭. টমেটোর রস:
- শরীরের তাপমাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে: অতিরিক্ত ঘাম প্রতিরোধ করে।
- ব্যবহার পদ্ধতি:
- তিন থেকে চারটি পাকা টমেটো ব্লেন্ড করে জুস বানিয়ে নিন।
- কয়েক সপ্তাহ প্রতিদিন এই জুস পান করুন।
৮. আলু:
- অতিরিক্ত ঘাম শোষণকারী উপাদান:
- ব্যবহার পদ্ধতি:
- একটি আলু স্লাইস করে হাত ও পায়ের তালুতে ঘষুন।
- কিছু সময় রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সতর্কতা:
- টমেটোর জুস: দীর্ঘ দিন টমেটোর জুস পান করলে কিডনিতে পাথর হওয়া সহ শারীরিক সমস্যা হতে পারে। কয়েক সপ্তাহ পর পর্যালোচনা করে প্রয়োজন হলে পান করা বন্ধ করুন।
- রুমাল রাখুন: সব সময় সাথে একটি রুমাল রাখুন, ঘাম হলেই হাত মুছে ফেলুন।
- সুতির পোশাক: ঢিলেঢালা ও নরম ধরনের সুতির পোশাক পরুন।
- ঠাণ্ডা পানি: ঘন ঘন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন।
- পেট্রোলিয়াম জেলি এড়িয়ে চলুন: হাত ও পায়ে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করবেন না।
এই পরামর্শগুলি অনুসরণ করলে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা অনেকটাই কমানো সম্ভব। যদি
সমস্যা গুরুতর হয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধ
ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য হোমিওপ্যাথি ওষুধগুলো কার্যকর হতে পারে। এখানে কিছু
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ এবং তাদের ব্যবহার সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো, তবে উল্লেখযোগ্য
যে, এসব ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই একজন দক্ষ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া
উচিত।
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ:
- সানিকুলা (Sanicula)
- ব্যবহার: অতিরিক্ত ঘাম এবং এর সাথে দুর্গন্ধের জন্য।
- একোনাইট (Aconite)
- ব্যবহার: আকস্মিক এবং তীব্র ঘামের সমস্যা দূর করতে।
- পেট্রোলিয়াম (Petroleum)
- ব্যবহার: ঘামের কারণে ত্বকের সমস্যার জন্য।
- সিলিসিয়া (Silicea)
- ব্যবহার: হাত, পা এবং বগলে অতিরিক্ত ঘাম এবং দুর্গন্ধের জন্য।
- মার্ক সোল (Mercurius Solubilis)
- ব্যবহার: সারা শরীরে প্রচুর ঘাম হওয়ার জন্য যা রাতে খারাপ হয়ে যায় এবং ঘামের গন্ধ আপত্তিকর বা টক প্রকৃতির।
- থুজা (Thuja)
- ব্যবহার: অতিরিক্ত ঘাম এবং ত্বকের সমস্যার জন্য।
- ক্যাল কার্ব (Calcarea Carbonica)
- ব্যবহার: মাথার ত্বকে প্রচুর ঘামের জন্য।
- ফরমালিন (Formalin)
- ব্যবহার: অতিরিক্ত ঘাম এবং এর সাথে দুর্গন্ধের জন্য।
- হিপার সালফ (Hepar Sulphuris)
- ব্যবহার: তীব্র দুর্গন্ধযুক্ত ঘামের জন্য।
- সাল্ভিয়া অফ (Salvia Officinalis)
- ব্যবহার: অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা কমাতে।
- সোরিনাম (Psorinum)
- ব্যবহার: দীর্ঘস্থায়ী ঘামের সমস্যা এবং দুর্গন্ধের জন্য।
ব্যবহারের পূর্বে করণীয়:
- চিকিৎসকের পরামর্শ: কোনো হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবনের আগে একজন দক্ষ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
- ডোজ এবং সেবন পদ্ধতি: ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী সঠিক ডোজ এবং সেবন পদ্ধতি মেনে চলতে হবে।
ঘরোয়া টিপস:
- ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা: দৈনিক দুইবার গোসল করুন এবং পরিষ্কার পোশাক পরুন।
- প্রাকৃতিক ডিওডোরেন্ট: লেবুর রস এবং টমেটোর রস ব্যবহার করতে পারেন।
- পানি: পর্যাপ্ত পানি পান করুন যাতে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যেতে পারে।
- ডায়েট: স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং ফাস্টফুড বা মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
এই পরামর্শগুলি মেনে চললে ঘামের দুর্গন্ধ কমানো সম্ভব। তবে যেকোনো ওষুধ সেবনের
পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক,
সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। যদি আপনি
এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে
ভুলবেন না। আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করলে তারা ও এই গুরুত্বপূর্ণ
তথ্যগুলি জানতে পারবে।
এই রকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। আর্টিকেলটি পড়ে
যদি আপনার কোনো মতামত জানানোর থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে যাবেন।
ধন্যবাদ, আসসালামু আলাইকুম।
Comments
Post a Comment