জাতীয় পরিচয়পত্র কিভাবে সংশোধন করবেন? জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল সংশোধন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আপনার পরিচয় এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পাদন করার জন্য প্রয়োজনীয়। কিভাবে সংশোধন করবেন বিস্তারিত জানুন।
জাতীয় পরিচয়পত্র একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট, যা আমাদের পরিচয় এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার জন্য অপরিহার্য। যদি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো ভুল থাকে, তাহলে জাতীয় পরিচয়পত্র কিভাবে সংশোধন করবেন? আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন।
জাতীয় পরিচয়পত্র কিভাবে সংশোধন করবেন
জাতীয় পরিচয়পত্র কিভাবে সংশোধন করবেন? জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সংশোধনের প্রক্রিয়াটি অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। আপনি ঘরে বসেই সহজেই এই প্রক্রিয়াটি করতে পারবেন। এখানে ধাপে ধাপে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের পদ্ধতি তুলে ধরা হলো:
ধাপ ১: অনলাইন অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন
- প্রথমে জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
- নতুন একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে "Create Account" বা "নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন" অপশনে ক্লিক করুন।
- আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ এবং অন্যান্য তথ্য দিয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।
- অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে আপনার মোবাইলে একটি ওটিপি (OTP) কোড পাঠানো হবে। সেটি দিয়ে অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করুন।
ধাপ ২: লগইন করে সংশোধনের আবেদন করুন
- অ্যাকাউন্ট তৈরি হওয়ার পর, আপনার ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে লগইন করুন।
- লগইন করার পর "Correction Application" বা "সংশোধন আবেদন" অপশনটি নির্বাচন করুন।
- যে তথ্যগুলো সংশোধন করতে চান সেগুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন।
- সঠিক তথ্য পূরণ করার পর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো স্ক্যান করে আপলোড করুন। যেমন: জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, এসএসসি সার্টিফিকেট ইত্যাদি।
ধাপ ৩: ফি প্রদান করুন
- সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ফি অনলাইনে পরিশোধ করুন। আপনি বিভিন্ন পেমেন্ট মাধ্যম ব্যবহার করে ফি প্রদান করতে পারেন, যেমন: বিকাশ, রকেট, ব্যাংক ট্রান্সফার ইত্যাদি।
- ফি পরিশোধ করার পর একটি পেমেন্ট রিসিট পাবেন যা ভবিষ্যতে রেফারেন্সের জন্য সংরক্ষণ করুন।
ধাপ ৪: সংশোধনের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করুন
- আপনার আবেদন জমা দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদনটি যাচাই করবে।
- যাচাইকরণ প্রক্রিয়া শেষে সংশোধনের আবেদন অনুমোদন হলে আপনার নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করা হবে।
ধাপ ৫: সংশোধিত পরিচয়পত্র সংগ্রহ করুন
- আপনার আবেদন অনুমোদন হলে আপনি অনলাইন পোর্টালে লগইন করে সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
- প্রয়োজনীয় হলে সংশোধিত পরিচয়পত্রের প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে স্থানীয় নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।
এভাবে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধন করতে পারবেন।
অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন
অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করা বর্তমান সময়ে বেশ সহজ হয়ে গেছে, তবে এটি করতে কিছু ধাপে ধাপে কাজ করতে হয়। এখানে অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধনের বিস্তারিত প্রক্রিয়া তুলে ধরা হলো:
ধাপ ১: NID Wallet অ্যাপ ডাউনলোড ও ইনস্টল করুন
- Play Store থেকে NID WALLET অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এবং আপনার স্মার্টফোনে ইনস্টল করুন।
ধাপ ২: জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন
- Google এ "জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন" লিখে সার্চ করুন।
- প্রথম অবস্থানে আসা সরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
ধাপ ৩: অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করুন
- ওয়েবসাইটে লগইন করার জন্য একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। যদি আপনার আগে অ্যাকাউন্ট না থাকে, তবে "Register" বা "নিবন্ধন করুন" অপশনে ক্লিক করুন।
- আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
ধাপ ৪: আবেদন করুন
- লগইন করার পর "Correction Application" বা "সংশোধন আবেদন" অপশনে ক্লিক করুন।
- আবেদন ফর্ম পূরণ করুন এবং সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করুন।
- ভুল তথ্য সংশোধন করার জন্য "Edit" বা "এডিট" অপশনটি ব্যবহার করুন এবং সঠিক তথ্য দিন।
ধাপ ৫: ফি প্রদান করুন
- সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ফি অনলাইনে প্রদান করুন। বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা (যেমন বিকাশ, রকেট) ব্যবহার করে ফি প্রদান করতে পারবেন।
- ফি জমা দেওয়ার পর একটি পেমেন্ট রিসিট বা কনফার্মেশন প্রাপ্ত হবে যা সংরক্ষণ করুন।
ধাপ ৬: প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করুন
- সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমন: জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, এসএসসি সার্টিফিকেট ইত্যাদি স্ক্যান করে NID Wallet অ্যাপের মাধ্যমে আপলোড করুন।
ধাপ ৭: আবেদন জমা দিন ও অপেক্ষা করুন
- সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ এবং ডকুমেন্ট আপলোড করার পর আবেদন জমা দিন।
- সংশোধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কিছু সময় লাগতে পারে, তাই ধৈর্য্য ধরুন।
ধাপ ৮: সংশোধিত এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করুন
- আবেদন অনুমোদিত হলে, আপনার নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইনে ডাউনলোড করতে পারবেন।
- প্রয়োজন হলে স্থানীয় নির্বাচন অফিস থেকে সংশোধিত পরিচয়পত্রের প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করুন।
এইভাবে আপনি সহজেই অনলাইনে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধন করতে পারবেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য আবেদন
জাতীয় পরিচয়পত্র কিভাবে সংশোধন করবেন? সাধারণত এই বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য ইতিমধ্যেই উল্লেখ করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সংশোধন করার প্রক্রিয়াটি অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায় এবং এটি বেশ সহজ। নিচে ধাপে ধাপে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য করণীয় বিষয়গুলো উল্লেখ করা হলো:
১. ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা
প্রথমে জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করুন।
২. একাউন্ট তৈরি করা
ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর, রেজিস্টার অপশনে গিয়ে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, এবং ঠিকানা ব্যবহার করে একটি নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
৩. প্রোফাইল এডিট করা
একাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে, লগইন করুন। এরপর আপনার প্রোফাইলে যান এবং সেখানে এডিট অপশনটি খুঁজে বের করুন। এখানে তিনটি প্রধান বিভাগে তথ্য থাকবে:
- ব্যক্তিগত তথ্য: এখানে আপনার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন করতে পারবেন।
- অন্যান্য তথ্য: এখানে আপনার পেশা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য সংশোধন করতে পারবেন।
- ঠিকানা: আপনার বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা এখানে সংশোধন করতে পারবেন।
৪. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্ক্যান করা
সংশোধনের জন্য যে তথ্যগুলো আপনি পরিবর্তন করতে চান, সেগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্ক্যান করে রাখুন। উদাহরণস্বরূপ, জন্ম সনদ, শিক্ষাগত সনদ, পাসপোর্ট ইত্যাদি।
৫. ফি প্রদান করা
সংশোধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি জমা দিতে হবে। ফি জমা দেওয়ার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা যেমন বিকাশ, রকেট ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। ফি জমা দেওয়ার পরে, পেমেন্ট কনফার্মেশনের রসিদটি সংরক্ষণ করুন।
৬. আবেদন জমা দেওয়া
সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করে আবেদনটি জমা দিন। আপনার আবেদনটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাচাই করবে এবং সংশোধনের জন্য অনুমোদন দেবে।
৭. সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করা
যদি আপনার আবেদন অনুমোদিত হয়, তবে আপনি ওয়েবসাইট থেকে সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। যদি প্রয়োজন হয়, সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে পারেন।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধন করতে পারবেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন আবেদন ফরম
জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সংশোধনের জন্য আবেদন ফরম ডাউনলোড এবং পূরণ করার প্রক্রিয়া বেশ সহজ। এখানে ফরমটি কোথায় পাবেন এবং কীভাবে এটি পূরণ করবেন, তা উল্লেখ করা হলো:
১. অনলাইনে আবেদন ফরম ডাউনলোড করা
আপনি জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি সংশোধন আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করতে পারেন। এছাড়াও, গুগলে "জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন আবেদন ফরম" লিখে সার্চ করলে প্রয়োজনীয় ফরমটি পেয়ে যাবেন।
২. ফরমটি পূরণ করা
আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করার পর, সঠিক তথ্য দিয়ে ফরমটি পূরণ করুন। এখানে আপনি যে তথ্যগুলো সংশোধন করতে চান, সেগুলো উল্লেখ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, নামের বানান, পিতামাতার নাম, জন্মতারিখ ইত্যাদি।
৩. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যুক্ত করা
আপনার সংশোধন করা তথ্যের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, যেমন জন্ম সনদ, শিক্ষাগত সনদ, বা পাসপোর্টের কপি, আবেদন ফরমের সাথে যুক্ত করুন।
৪. নির্বাচন অফিসে জমা দেওয়া
ফরমটি পূরণ এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংযুক্ত করার পর, এটি আপনার নিকটবর্তী নির্বাচন অফিসে জমা দিন। নির্বাচন অফিসে জমা দেওয়ার সময় অবশ্যই আপনার এনআইডি কার্ডের একটি কপি সাথে রাখুন।
৫. সহায়তা প্রাপ্তি
যদি ইন্টারনেটের মাধ্যমে আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে সমস্যা হয়, তাহলে আপনার নিকটবর্তী কম্পিউটার দোকানে গিয়ে সহায়তা নিতে পারেন। সেখানে থেকে আবেদন ফরমটি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারবেন।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন ফরম সংগ্রহ এবং জমা করতে পারবেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে? জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সংশোধনের জন্য যে ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হয়, তা সংশোধন করতে চাওয়া তথ্যের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। এখানে বিভিন্ন ধরনের সংশোধনের জন্য সাধারণত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলোর তালিকা দেওয়া হলো:
১. নাম সংশোধনের জন্য:
- এসএসসি/এইচএসসি অথবা সমমানের সনদপত্রের কপি
- জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রের কপি
- পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি (যদি থাকে)
- বিবাহের কাবিননামা (বিবাহিত হলে)
- এমপিও সিট/সার্ভিস বই
- পিতা-মাতার নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে সন্তানের NID কার্ডের কপি
২. জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য:
- জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রের কপি
- এসএসসি/এইচএসসি বা সমমানের সনদপত্রের কপি
৩. ঠিকানা সংশোধনের জন্য:
- হোল্ডিং ট্যাক্স রসিদ
- বিদ্যুৎ বা গ্যাস বিলের কপি
- বাড়িওয়ালার সনদ (যদি ভাড়াটিয়া হন)
- ভূমির দলিল/সার্টিফিকেট
৪. পিতার নাম, মাতার নাম বা স্বামীর নাম সংশোধনের জন্য:
- সংশোধনের জন্য প্রমাণিত ডকুমেন্ট, যেমন জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র বা এসএসসি/এইচএসসি সনদপত্রের কপি
- বিবাহের কাবিননামা (যদি বিবাহিত হন)
- সন্তানদের NID কার্ডের কপি (যেখানে পিতা-মাতার নাম সঠিক আছে)
৫. অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য:
- সংশ্লিষ্ট তথ্যের সঠিক প্রমাণপত্র, যেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা সংশোধনের জন্য শিক্ষাগত সনদপত্রের কপি
- সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে এমপিও সিট/সার্ভিস বই
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত করে সংশোধনের আবেদন জমা দিলে আপনার NID কার্ডের তথ্যগুলো সঠিকভাবে সংশোধন করা সম্ভব হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন হতে কতদিন লাগে
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন হতে কতদিন লাগে? জাতীয় পরিচয় পত্র (NID) সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করার পর সাধারণত ৭ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে। তবে কিছু ক্ষেত্রে সময় একটু কম বা বেশি লাগতে পারে, যেমন সরকারি ছুটি বা অন্যান্য প্রশাসনিক কারণে।
উল্লেখযোগ্য সময়সূচি:
- সর্বনিম্ন সময়: ৭ দিন
- সর্বোচ্চ সময়: ১৫ দিন
যদিও এটি গড়পড়তা সময়, প্রকৃত সময়সীমা আপনার আবেদন এবং সংশোধনের ধরণ অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। সংশোধনের জন্য আবেদন করার পর আপনার আবেদন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি ট্র্যাক করার জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে চেক করতে পারেন বা প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফি কত
জাতীয় পরিচয়পত্র কিভাবে সংশোধন করবেন? এ বিষয়টি আগে জেনে নিন। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সংশোধনের জন্য আবেদন করার সময় নির্দিষ্ট পরিমাণে ফি দিতে হয়, যা সরকার দ্বারা নির্ধারিত। এখানে সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ফি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হলো:
ফি’র পরিমাণ:
- বড় ধরনের তথ্য সংশোধনের জন্য (যেমন নাম, জন্মতারিখ, পিতামাতা বা স্বামী/স্ত্রীর নাম):
- ফি: ২৩০ টাকা
- ছোট ধরনের তথ্য সংশোধনের জন্য (যেমন ঠিকানা, লিঙ্গ, রক্তের গ্রুপ ইত্যাদি):
- ফি: ১১৫ টাকা
- উভয় ধরনের তথ্য সংশোধনের জন্য (বড় এবং ছোট উভয়):
- ফি: ৩৪৫ টাকা
- বিকাশ
- রকেট
- নগদ
এই ফি প্রদানের পর আপনি সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। ফি প্রদান এবং সংশোধন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র ওয়েবসাইটে লগইন করতে পারেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র পিতা মাতার নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে
জাতীয় পরিচয় পত্র পিতা-মাতার নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে? জাতীয় পরিচয় পত্রে পিতা-মাতার নাম সংশোধনের জন্য কিছু নির্দিষ্ট ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়। এই ডকুমেন্টগুলো সংশোধনের জন্য প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। নিচে সেই ডকুমেন্টগুলোর তালিকা দেওয়া হলো:
পিতা-মাতার নাম সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:
- এসএসসি বা এইচএসসি সমমানের সার্টিফিকেট:
- আপনার পিতা-মাতার নাম সঠিকভাবে উল্লেখ করা রয়েছে এমন একটি সার্টিফিকেট।
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র:
- আপনার নিজের জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র, যাতে পিতা-মাতার নাম সঠিকভাবে উল্লেখ রয়েছে।
- পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে):
- যদি আপনার পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে, তবে সেখানে পিতা-মাতার নাম সঠিকভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
- পিতা-মাতার উভয়ের জাতীয় পরিচয় পত্র:
- আপনার পিতা-মাতার উভয়ের জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি।
- পিতা-মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র:
- পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র (যদি অনলাইনে রেজিস্টার করা থাকে)।
- ভাই-বোনের জাতীয় পরিচয়পত্র (যদি থাকে):
- যদি আপনার ভাই-বোনের জাতীয় পরিচয় পত্রে পিতা-মাতার নাম সঠিক থাকে, তবে তার ফটোকপি।
এই ডকুমেন্টগুলো প্রস্তুত রাখার পরে, আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এসব ডকুমেন্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার পর আপনার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র জন্ম তারিখ সংশোধন
জাতীয় পরিচয় পত্র জন্ম তারিখ সংশোধন হতে চাইলে আপনাকে বিস্তারিত ভাবে কোন কোন ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে সাধারণত এই বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে। জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো নিচে তালিকাভুক্ত করা হলো:
জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:
- এসএসসি বা এইচএসসি অথবা সমমানের সার্টিফিকেট:
- আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়, যেখানে আপনার জন্ম তারিখ সঠিকভাবে উল্লেখ থাকবে।
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ:
- আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র যা অনলাইনে রেজিস্টার করা আছে এবং এতে সঠিক জন্ম তারিখ উল্লেখ থাকবে।
- পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে):
- আপনার পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্সে সঠিক জন্ম তারিখ উল্লেখ থাকলে এটি সংশোধনের জন্য সহায়ক হতে পারে।
- নাগরিক সনদপত্র:
- আপনার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরের কাছ থেকে নাগরিক সনদপত্র সংগ্রহ করতে হবে, যেখানে আপনার জন্ম তারিখ সঠিকভাবে উল্লেখ থাকবে।
- বিবাহের কাবিন নামা (বিবাহিত হলে):
- যদি আপনি বিবাহিত হন, তবে আপনার বিবাহের কাবিন নামা যেখানে আপনার জন্ম তারিখ সঠিকভাবে উল্লেখ থাকবে।
- কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ন:
- সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি প্রত্যয়ন পত্র, যেখানে আপনার জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়া থাকবে।
এই ডকুমেন্টগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার পরে আপনার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং সংশোধন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে সময় লাগতে পারে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
জাতীয় পরিচয়পত্র কিভাবে সংশোধন করবেন? এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল পড়ে বিস্তারিতভাবে বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন সংক্রান্ত যে কোনো প্রশ্ন বা সমস্যা থাকলে, আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে দ্বিধা করবেন না। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি নিয়মিত জানতে চান, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে থাকুন। আমরা নতুন নতুন আপডেট ও তথ্য নিয়ে আপনাদের সেবা করতে সদা প্রস্তুত।
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা!
Comments
Post a Comment