তীব্র গরমে সুস্থ থাকার জন্য বাইরে থেকে বাসায় ফিরে আসলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ অনুসরণ করা উচিত। যেমন ঠান্ডা স্থানে অবস্থান, ঠান্ডা পানি না পান করা,বিশ্রাম নিন,পানি পান,গোসল করুনএই পদক্ষেপগুলো মেনে চললে তীব্র গরমে আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হবেন।
তীব্র গরমের সময় সুস্থ থাকার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয় রয়েছে। নিচে তীব্র গরমে সুস্থ থাকার ১২ টি উপায় এবং করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ভূমিকা
তীব্র গরমে সুস্থ থাকার জন্য কিছু কার্যকরী পরামর্শ আছে যা আপনি এবং আপনার পরিবারের সদস্যরা মেনে চলতে পারেন। গরমের কারণে যে অসুবিধাগুলো সৃষ্টি হচ্ছে, সেগুলো থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিচের কিছু করণীয় বিষয় উল্লেখ করছি।
নিচে দেওয়া পরামর্শগুলো অনুসরণ করলে তীব্র গরমের প্রভাব থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া সম্ভব। শরীরের উপর তাপের প্রভাব কমাতে এবং সুস্থ থাকতে এই টিপসগুলো অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
তীব্র গরমে সুস্থ থাকার ১২ টি উপায়
তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু প্রধান পয়েন্ট তুলে ধরা হলো:
১. রোদে যাওয়া থেকে বিরত থাকা:
- বিশেষ করে বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সরাসরি রোদে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। এ সময় দিনের সবচেয়ে বেশি গরম থাকে, যা শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
২. সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষা:
- রোদচশমা ব্যবহার করে চোখকে সুরক্ষিত রাখুন। বাইরে গেলে ছাতা, টুপি, এবং স্যান্ডেল ব্যবহার করুন, যা শরীরকে অতিরিক্ত তাপ থেকে রক্ষা করবে।
৩. প্রচুর পানি পান করা:
- তৃষ্ণা না পেলেও প্রচুর পানি পান করুন। ডাব, জুস, লাচ্ছি, লেবু পানি, দই ইত্যাদি পানীয় গ্রহণ করুন, যা শরীরকে আর্দ্র রাখবে এবং পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করবে।
৪. খাবারের প্রতি সচেতনতা:
- উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবারের পরিবর্তে হালকা খাবার খান। এছাড়া বাইরের খাবার গ্রহণে সতর্ক থাকুন, কারণ গরমের সময় খাদ্যবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
৫. পানি সঙ্গে রাখুন:
- বাইরে কোথাও গেলে অবশ্যই সঙ্গে পানি নিন। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি অত্যন্ত জরুরি।
৬. বেশিবার গোসল করা:
- সুযোগ থাকলে দিনে একাধিকবার গোসল করুন, বিশেষ করে ঘুমানোর আগে। এটি শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।
৭. সুতির কাপড় পরা:
- হালকা, ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের সুতি কাপড় পরুন, যা গরমে আরামদায়ক হবে।
৮. ঘর ঠান্ডা রাখা:
- ঘর ঠান্ডা রাখতে ব্যবস্থা নিন এবং বাতাস প্রবেশের সুযোগ রাখুন। তীব্র গরমের সময়ে এটি বেশ সহায়ক।
৯. শারীরিক সমস্যায় সতর্কতা:
- শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, দুর্বলতা, বা মাথা ঝিমঝিম করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
১০. ঘামাচির প্রতিকার:
- ঘামাচির সমস্যা এড়াতে প্রচুর পানি পান করুন এবং প্রতিদিন অন্তত দুবার গোসল করুন। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান।
১১. হিটস্ট্রোক এড়ানো:
- হিটস্ট্রোক এড়াতে যথাসম্ভব ঘরের ভেতরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকুন। পানি এবং লবণযুক্ত পানীয়, যেমন খাবার স্যালাইন, ফলের রস, লাচ্ছি ইত্যাদি পান করুন।
১২. সবজি খাওয়া:
- খাদ্যতালিকায় শসা, টমেটো, ক্যাপসিকাম, লাউ, শাক-পাতা রাখুন, যা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে।
এই পরামর্শগুলো অনুসরণ করলে তীব্র গরমে নিজেকে সুস্থ রাখা অনেক সহজ হবে। গরমে শরীরের প্রয়োজনীয় যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি, বিশেষত যখন আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা গরমের কারণে ব্যাহত হয়।
তীব্র গরমে যেসব শারীরিক সমস্যা হতে পারে
ডা. আবেদ হোসেনের মতে, অসহনীয় গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং এই সময়ে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ রোগগুলোর মধ্যে হিট স্ট্রোক অন্যতম। বয়স্ক, অসুস্থ সদস্য এবং শিশুরা এ ঝুঁকির মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছেন, কারণ তারা পানিশূন্যতার সমস্যাটি ততটা ভালোভাবে বুঝতে বা সামাল দিতে পারেন না। তাই তাদের দিকে বাড়তি নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
এছাড়া, গরমের তীব্রতায় ডায়রিয়ার প্রকোপও বেড়ে চলেছে। প্রচণ্ড গরমে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস এবং চর্ম রোগের সমস্যাগুলোও বৃদ্ধি পায়। এ কারণে, এই সময়টিতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত যাতে করে এই ধরনের রোগের ঝুঁকি কমানো যায়। পরিবারের দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ সদস্যদের জন্য বিশেষ যত্ন নেওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করা গুরুত্বপূর্ণ।
হিট স্ট্রোকের লক্ষণ ও চিকিৎসা
ডা. আবেদ হোসেনের মতে, অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেলে হিট স্ট্রোকের সমস্যা হতে পারে। এটি একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা, যার ফলে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যায় এবং ঘাম বন্ধ হয়ে যায়। হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলো হতে পারে:
হিট স্ট্রোকের লক্ষণ:
- মাথা ব্যথা ও মাথা ঘোরা: হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তি মাথা ব্যথা এবং মাথা ঘোরার অনুভূতি পেতে পারে।
- চোখে ঝাপসা দেখা: দৃষ্টি সমস্যা হতে পারে, চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা অনুভব হতে পারে।
- অস্বাভাবিক দুর্বলতা: শরীরের দুর্বলতা অনুভব হয়, সাধারণ কাজ করতেও সমস্যা হয়।
- মাংসে টান ও বমি: শরীরের মাংসে টান অনুভব হতে পারে এবং বমি হতে পারে।
- অজ্ঞান হওয়া ও খিঁচুনি: গুরুতর অবস্থায় ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে এবং খিঁচুনি হতে পারে।
হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা পাওয়ার কিছু পরামর্শ:
- প্রচুর পানি পান করুন: শরীরের পানির ঘাটতি পূরণের জন্য প্রচুর পানি পান করুন।
- ছায়াযুক্ত স্থানে অবস্থান করুন: সরাসরি রোদ থেকে পরিহার করুন এবং ছায়াযুক্ত স্থানে থাকুন।
- হালকা কাপড় পরুন: হালকা রঙের এবং ঢিলেঢালা কাপড় পরুন।
- শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করুন: ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন এবং ঠান্ডা স্থানটিতে বিশ্রাম নিন।
যদি হিট স্ট্রোকের লক্ষণ অনুভব করেন, দ্রুত চিকিৎসকের সাহায্য নিন। চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে এবং তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
তীব্র গরমে সুস্থ থাকার উপায়
ডা. আবেদ হোসেনের পরামর্শ অনুযায়ী, তীব্র গরমে সুস্থ থাকার জন্য কিছু সতর্কতা মেনে চলা জরুরি, বিশেষ করে শিশু, কিশোর, বয়স্ক, অসুস্থ মানুষ এবং শ্রমিকদের জন্য। এখানে উল্লেখিত প্রধান সতর্কতাগুলো হলো:
- ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহার: বাইরে বের হওয়ার সময় ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহার করা উচিত। এটি সরাসরি রোদ থেকে সুরক্ষা দেবে।
- পানি ও শরবত পান: শরীরে পানিশূন্যতা রোধে বেশি পরিমাণে পানি, শরবত, বা স্যালাইন পান করা প্রয়োজন এবং বাইরে গেলে সঙ্গে এইগুলো বহন করতে হবে।
- ছায়াযুক্ত পথ বেছে নিন: সরাসরি রোদ এড়িয়ে ছায়াযুক্ত স্থান দিয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।
- হালকা রং ও পাতলা কাপড়: ভারি ও কালো কাপড় বাদ দিয়ে হালকা রং ও পাতলা কাপড় পরিধান করুন, যা শরীরকে ঠান্ডা রাখবে।
- সানস্ক্রিন ও সানগ্লাস: ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন এবং চোখের সুরক্ষায় সানগ্লাস ব্যবহার করা উচিত।
- অপ্রয়োজনীয় বাইরে যাওয়া এড়ানো: যাদের হৃদরোগ, লিভার বা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাদের খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া উচিত নয়।
- তাপমাত্রার পিক সময় এড়ানো: সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টার মধ্যে তাপমাত্রা বেশি থাকে, এই সময়ে বাইরে কাজ কমিয়ে আনতে হবে।
- শ্রমিক ও রিকশাচালকদের মাথা ঢেকে রাখা: কাজ করার সময় শ্রমিকদের ক্যাপ বা কাপড় ব্যবহার করা উচিত।
- কাজের বিরতিতে বিশ্রাম: রোদে একটানা কাজ না করে মাঝেমধ্যে ছায়ায় বিশ্রাম নিতে হবে।
- শরীরকে ঠান্ডা রাখা: মুখ ও শরীরে বারবার পানি ছিটানো, এবং হালকা লবণ মিশ্রিত পানি বা স্যালাইন পান করা উপকারী হবে।
- অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়ানো: রাস্তার পাশে তৈরি অপরিষ্কার খাবার ও পানীয় যেমন চা, শরবত খাওয়া এড়াতে হবে।
- ব্যায়ামের সময় পরিবর্তন: দিনের আউটডোর ব্যায়াম সন্ধ্যা বা রাতে করা যেতে পারে।
- প্রতিদিন গোসল: শরীরের তাপমাত্রা কমাতে প্রতিদিন গোসল করা জরুরি।
- পানিযুক্ত ফল ও যথেষ্ট বিশ্রাম: তরমুজ, ডাব, কলা, শসা, স্ট্রবেরি ইত্যাদি ফল খাওয়া উচিত, এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
এই পরামর্শগুলো মেনে চললে তীব্র গরমেও সুস্থ থাকা সম্ভব।
তীব্র গরমে কী ধরনের খাবার খাবেন
গরমের সময় শরীর থেকে যে লবণ-পানি ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যায়, তা পূরণের জন্য অতিরিক্ত তরল গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন ফল থেকে তৈরি তাজা জুস, ডাবের পানি, লবণ-চিনির শরবত, এবং স্যালাইনের পানি খাওয়া উপকারী। এটি শরীরের পানিশূন্যতা রোধ করে এবং প্রস্রাবের গাঢ় রং দেখা দিলে তা পানি স্বল্পতার লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং পেট ভালো রাখতে নিম্নলিখিত খাবার ও পানীয় গ্রহণ করতে পারেন:
- তাজা ফলের জুস: গ্রীষ্মকালীন ফলের জুস যেমন তরমুজ, বেলের শরবত, এবং অন্যান্য তাজা ফলের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে।
- ডাবের পানি: ডাবের পানি প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইটের উৎস যা শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে সহায়ক।
- লবণ-চিনির শরবত: লবণ-চিনির শরবত পান করলে শরীরের লবণের ঘাটতি পূরণ হয় এবং গরমের সময় এনার্জি বজায় থাকে।
- স্যালাইনের পানি: পানি স্বল্পতার ক্ষেত্রে স্যালাইনের পানি অত্যন্ত কার্যকর।
- পাতলা ঝোলের খাবার: ঝিঙে, চালকুমড়া, লাউ, চিচিঙ্গা, এবং শজনেডাঁটার পাতলা ঝোল শরীরে গরম কম অনুভূত করায় এবং পেট ভালো রাখতে সহায়তা করে।
- কাঁচা আমের শরবত: কাঁচা আমের শরবত প্রচুর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা গরমে শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
- টক দইয়ের শরবত: টক দই পাকস্থলী সুস্থ রাখতে এবং হজম শক্তি বাড়াতে সহায়ক। গরমে এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে।
- সবজি স্যুপ: বিশেষ করে শিশু ও রোগীদের জন্য পাতলা করে রান্না করা সবজি স্যুপ শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
এই খাবার ও পানীয়গুলো গরমের সময় শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে।
তীব্র গরমে কী ধরনের খাবার খাবেন না
ডা. আবেদ হোসেন গরমের সময় কিছু খাবার এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন, কারণ এগুলো শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে গরম অনুভূতি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এ ধরনের খাবারগুলো হলো:
- মশলাজাতীয় খাবার: ফুচকা, চটপটি, ফাস্টফুড, ডুবো তেলে ভাজা খাবার, তেল-চর্বি জাতীয় খাবার, পোলাও, বিরিয়ানি, তেহারি, স্টেক ইত্যাদি খাবার শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায় এবং বদহজমের কারণ হতে পারে।
- চা ও কফি: চা বা কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইন দেহকে পানিশূন্য করে ফেলে এবং শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
- দুগ্ধজাতীয় খাবার: গরমের সময় দুগ্ধজাত খাবার দ্রুত নষ্ট হয় এবং ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
- আইসক্রিম ও কোমল পানীয়: যদিও আইসক্রিম ও কোমল পানীয় শরীরে ঠান্ডা অনুভূতি দেয়, তবে এগুলো শরীরের পানিশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে, তাই এসব খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
- অতিরিক্ত চিনি ও লবণ: অতিরিক্ত চিনি ও লবণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর, বিশেষ করে গরমের সময়। এগুলোর পরিমাণ সীমিত রাখা উচিত।
এই খাবারগুলো গরমের সময় শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, তাই এগুলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত।
লেখকের মন্তব্য
তীব্র গরমে সুস্থ থাকার জন্য উপরের ১২টি উপায় মেনে চললে এবং নিজের যত্ন নিলে গরমের সময় অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে। বিশেষ করে বাইরে গেলে পানি সাথে রাখা এবং বেশি বেশি পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটি শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করে।
বাইরে থেকে বাসায় এসে লেবু পানি খেতে পারেন। লেবু পানি খাওয়া একটি চমৎকার অভ্যাস। লেবু পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি এনার্জি বাড়ায় এবং শরীরকে সতেজ রাখে। এছাড়া লেবুতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
তীব্র গরমে সুস্থ থাকার জন্য এই উপায়গুলো মেনে চলা অত্যন্ত কার্যকর। আপনি এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে গরমের সময় নিজের এবং পরিবারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারবেন।
Comments
Post a Comment